গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করে আলোচনায় আসেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। রমজানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন খলিলুর। তবে রাজধানীতে এবার তার চেয়েও কমে ৫৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। পুরান ঢাকার আজিমপুরের গৌরীশাহ মাজার এলাকায় এই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের তত্বাবধানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অল্প দামে গুরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। রামজানে মানুষ যেনো অল্প টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারে তাই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে কম দামে মাংস বিক্রির ঘোষণার পরপরই দোকানে ভিড় করতে দেখা যায় সাধারণ ক্রেতাদের। মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, কম দামে ভালো মাংস পাচ্ছি। কম দামে গরু কিনে লাভ কম করছে তাই এই দামে বিক্রি হচ্ছে হয়তো। তবে মাংসে কোনো সমস্যা দেখছি না।
ঢাকার মাংসের বাজারে ইতোমধ্যেই আলোচিত হয়ে উঠেছেন খলিলুর রহমান। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন।
এবারের রোজায় এই ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংসের পাশাপাশি ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংসও বিক্রি করছেন। তবে সব রেকর্ড ভাঙে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) ছুটির দিনে তার বিক্রি ছাড়ায় কোটি টাকা, আর সে জন্য গরু জবাই করতে হয়েছে ৫০টি।
খলিলুর রহমান বলেন, রোজায় মানুষ যাতে গরুর মাংস খেতে পারে, সে জন্য দামে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। ছাড় দিয়ে মাংস তখনই বিক্রি সম্ভব হয়, যখন বেচাকেনা বেশি হয়। কারণ, ছাড়ে মাংস বিক্রি করলে লাভ কম হয়। তবে রমজানে মূল্যছাড় দেয়ার পর মাংস কিনতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, ফলে বেড়েছে বেচাবিক্রিও।